কানাইঘাটে হঠাৎ করে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়- এ রোগকে কনজাংটিভাইটিস বললেও সাধারণ মানুষের কাছে চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে দ্রুত ছড়াচ্ছে।

শিশুসহ সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিসপাড়া ও হাটবাজারে অধিকাংশ চোখ ওঠা রোগীর দেখা মিলছে। কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ থেকে বাঁচতে অনেককে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, ফার্মেসি এবং পল্লী চিকিৎসকের কাছে চোখ ওঠা রোগীর বেশ ভিড় লক্ষ করা গেছে। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক চোখ ওঠা রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে কানাইঘাট হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

কানাইঘাট বাজারের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী বিলাল উদ্দিন জানান- গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিজে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ইতোমধ্যে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। একইভাবে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত সংবাদকর্মী মুমিন রশীদ। চোখে কালো চশমা ব্যবহারের পাশাপাশি তিনিও প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

বাজারের মেসার্স মঈন ফার্মেসির মালিক শিহাব উদ্দিন জানান- গত কয়েকদিন ধরে তার ফার্মেসিতে প্রচুর চোখ ওঠা রোগী ভিড় করছেন। ফলে চোখের ড্রপের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। তিনি আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহবান করছেন বলে জানান।

বীরদল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হেলাল আহমদ বলেন- কমিউনিটি ক্লিনিকে ইদানীং প্রচুর চোখ ওঠার রোগী আসছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ক্লোরামফেনিকল ড্রপ এবং পরামর্শ দিচ্ছি।

সিলেটের পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক কানাইঘাটের কৃতি সন্তান শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তারেক মাহমুদ বলেন- চোখ উঠা সাধারণত একটি সিজনাল ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে এই রোগ সেরে যায়। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সহজে এই রোগ থেকে বাঁচা যায়।

যেমন- বারবার হাত দিয়ে চোখ না চুলকানি, রুমালের পরিবর্তে টিস্যু ব্যবহার করা, ময়লা পানিযুক্ত পুকুর বা নদী নালাতে গোসল না করা, ঘরের বাহিরে গেলে চশমা ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

‌বিয়ানীবাজারসহ সিলেটে আচমকা পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধ- সাধারণ মানুষের ভোগান্তি